অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ভোট সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সবকিছু আঞ্চলিক পর্যায়ে পাঠাতে শুরু করেছি। বলা যায়, নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আমরা।’
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিছুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনকে আমরা সাধারণ নির্বাচনের মতোই দেখছি। যেহেতু সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, সেহেতু এই উপনির্বাচন আমাদের পরীক্ষার সম্মুখীন করেছে। ফলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য।’
আমরা যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছি, তাদের দায়িত্ব ভোটার আনা নয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের। আমাদের দায়িত্ব সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নিবন্ধিত ৪৪টি দলকে ২০২২ সালে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম আমরা। কেউ কেউ আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এরপরও আহ্বান জানিয়েছি। সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্বাক্ষরে একটি দলের মহাসচিব ও দলীয় প্রধানকে চিঠি দিয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিষয় আমরা সমাধান করতে পারবো না। সেটা আমাদের বিষয়ও না। তবে আমরা নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করবো। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বোঝায়, আমরা তা করবো। এজন্য চেষ্টা করছি এবং করবো। কমিশনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হলো নির্বাচন সম্পন্ন করা।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে, বাধ্যবাধকতা আছে। তাদের জন্য নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধান আছে, নির্বাচনে অংশ না নিলে কী হবে বা হবে না, তাও উল্লেখ আছে। কাজেই এ বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। এটি নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে আমরা চাই, সব দল ভোটে আসুক। কেন্দ্রে ভোটার আসুক। ভোটার যদি অংশ নেয়, তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটার যদি বেশি অংশ নেয়, তাহলে নির্বাচনকে অব্যশই আমরা অংশগ্রহণমূলক বলবো।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply