অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির তৈরি করা কমিটি অনুমোদনের জন্য স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাইফুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার করেছেন সাইফুল ইসলামকে। বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তি নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নিলক্ষিয়া আব্দুস ছালাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত নিলক্ষিয়া বাজারে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসময় একপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। তবে আরেক পক্ষ খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, চলতি মাসে বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগাম গণসংযোগ ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিল। সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। উপজেলা সভাপতি কমিটি সাজিয়ে সেখানে স্বাক্ষর দিতে চাপ দেন সাইফুল ইসলামকে। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নূর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে মারধর করেন।
পরে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বুধবার রাতেই দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে সাইফুল ইসলামকে। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতেও বলা হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশে স্বাক্ষর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়।
অভিযোগ করে নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি সাজিয়ে তাকে স্বাক্ষর দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামও মারধরে অংশ নেন। ঘটনাটি ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে নিতে উল্টো তাকেই দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তার ছোটভাই নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ হোসেন তরফদার বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়েছে। তবে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
Leave a Reply