এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুল ব্যবসার সম্প্রসারণ ও ইকোলজিক্যাল ফার্মিং এর লক্ষ্যে ঝিনাইদহে দুই দিনব্যাপী ফুল মেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার গান্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের আওতায় রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
আরআরএফ এর নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী, কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি, আলহাজ¦ মসিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা শাহিদ, আরআরএফ এর পরিচালক অরুন কুমার বিশ^াস, মাগুরা জোনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, আরআরএফ এর এসইপি প্রজেক্ট মানেজার ড.অসিত বরণ মন্ডল, কামাল হাট ফুলচাষী সমিতির সভাপিত গিয়াসউদ্দীন, বেলেডাঙ্গা ফুলচাষী সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া, ফুলচাষী সাজেদা,শরিফুল ইসলাম, আদম আলী ও মারুফ বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে ফুলচাষে বিশেষ অবদানের জন্য ফুলঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও ফুলচাষী জমির উদ্দীনসহ ৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মাধ্যে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার বিতর করা হয়। অনুষ্ঠানে ফুল চাষে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের (আরআরএফ) কার্যক্রমকে প্রশংসা করে প্রতিষ্ঠানটির ফুলচাষীদের প্রতি বিশেষ সহযোগিতা চলমান রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান।
গান্না বাজার ফুলচাষী সমিতির সভাপতি জমির উদ্দীন বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি ফুল চাষিদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে গান্না বাজারের ফুল সারা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো।
গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, আমার এলাকার ফুল সারা দেশে খুবই বিখ্যাত। সহযোগিতা পেলে এই ফুলের মাধ্যমে দেশের নাম বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। মেলায় গাধা,রজনীগন্ধা, জারবেরা ও লিলিয়ামসহ নানা প্রকার ফুলের প্রদর্শনী করা হচ্ছে।
Leave a Reply