স্টাফ রিপোর্টার : ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে উপকার ভোগীদের হয়রানি করার সময় এলাকাবাসী রনি নামের এক ভুয়া পরিচয় নামধারী সংবাদকর্মীকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় স্থানীয় উপকার ভোগী নারী-পুরুষেরা ফুসে উঠলে ভুয়া পরিচয় নামধারী সংবাদকর্মী রনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে।
গত ১৪ এপ্রিল রোববার বিকালে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও ভিজিএফের চাল পাওয়া কয়েকশত উপকার ভোগীরা বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে ভিজিএফের চাল পাওয়া উপকার ভোগীরা তাদের হয়রানি করার কারনে এক মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ভিজিএফের চাল পাওয়া উপকার ভোগীরা তাদের হয়রানি করার কারনে ভুয়া পরিচয় নামধারী সংবাদকর্মী রনি ও তার পৃষ্ট পোশকের বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে আসা বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের জাহিদা বেগম ও ইশারুন নেছা জানান, আমরা অসহায় মানুষ। আমরা যখন ভিজিএফের ১০ কেজি করে দেওয়া চাল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ছেড়ে বাড়ীর দিকে চলে যাচ্ছি তখন রনি নামের এক যুবক আমাদের চাউলের বস্তা ধরে টানা টানি শুরু করে। এ সময় এলাকার কয়েকজন তাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি সদস্য) নাসির উদ্দীন, আজিজুর রহমান, শহীদুল ইসলাম জানান, আমরা কোন ভিজিএফের চাল পাওয়া উপকার ভোগীদের চাউল কম দেয়নি। অথচ রনি নামের একজন উপকার ভোগী নারীদের চাউলের বস্তা নিয়ে টানা টানি করার সময় পরিষদের বাইরে কয়েকজন তাকে রাঞ্চিত করেছে বলে শুনেছি। উপকার ভোগী নারীদের টানা হেচড়া করার কারনে এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে রনির বিচার দাবি করে মানববন্ধর করেছে।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু জানান, ভিজিএফের চাল পাওয়া উপকার ভোগী অসহায় নারীরা যখন চাউল নিয়ে যায় রাস্তার মধ্যে রনি তাদের চাউলের বস্তা নিয়ে টানাটানি করার সময় এলাকার কিছু মানুষ তাকে টানা হেচড়া করেছে বলে আমি শুনেছি। নারীদের চাউলের বস্তা ধরে টানা টানির কারনে এলাকার নারী-পুরুষেরা আজ আমার ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে রনির বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে।
Leave a Reply