মোঃ আব্দুর রাজ্জাক : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ামমিন মনিরা ‘একাই একশ’ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
গতবছর মে মাসে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন প্রাশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা। নিজ দপ্তরের দায়িত্বসহ নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের দায়িত্ব ভালভাবেই চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পদ শুন্য হলে বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর, এরপর শুন্য হয় পৌরসভার মেয়রের পদ। প্রথমে মেয়ের দায়িত্ব ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপর ন্যাস্ত থাকলেও কিছু দিন পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অন্যত্র বদলী হওয়ায় ঐ দায়িত্ব এসে পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরার উপর। মোট কথা তিনি এখন একাধারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্থাৎ এসি ল্যান্ড।
অমায়িক স্বভাবের অধিকারী মহেশপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা একই সাথে পাঁচটি পদের দায়িত্ব পালন করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে চলেছেন।
নিজ দপ্তরের অসংখ্য কাজের মাঝে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে, রাস্তায় দাড়তে হচ্ছে মোটর সাইকেল চালকদের কাগজপত্র যাচাই করতে, অভিযান পরিচালনায় যেতে হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন ফাইলপত্রে স্বাক্ষর, আবার এসি ল্যান্ড হিসেবে ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে জনগণের জমির নামপত্তন জমা-খারিজ কেস শুনানীতে, আবার পৌরসভার দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি পৌরবাসীর সেবা দিতে ছুটে যেতে হচ্ছে পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে।
একজন পুরুষের পক্ষে যেসব কাজ করতে হিমশিম খাওয়ার কথা, সেখানে একজন নারী দায়িত্ব পালনের স্বার্থে সে সব কাজ করে চলেছেন দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
‘একাই একশ’ কথাটা রুপক হলেও মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারে বেলায় সেটাই মহেশপুর উপজেলাবাসী মহেশপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরার কর্মদক্ষতা ও জনসেবার ধরণ দেখে সাধুবাদ জানাচ্ছে।