জাফিরুল ইসলাম : রাজনৈতিক নয়; পারিবারিক দ্বন্দ নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরেই ঝিনাইদহে পাগলা কানাই এলাকার ভাটা লিটনের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছে তারই চাচাতো ও ফুপাতো ভাইয়েরা। পারিবারিক দ্বন্দ্ব এই বিষয়টি রাজনৈতিক্ ইস্যু করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বিএনপি। উল্লেখ্য, ভাটা লিটন হিসেবে পরিচিত লিটন
মিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই এলাকায় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সদস্য। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিএনপির আসামীদের যুবলীগের আসামী বলে চালানো হচ্ছে। যেমন লিমন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদল (পিন্টু-মাখন কমিটি) সাবেক সদস্য, তার পিতা মাছ সাঈদ হিসেবে পরিচিত আবু সাঈদ ঝিনাইদহ জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িবাথান গ্রামের ভাটা লিটন নামে পরিচিত লিটন ও তার ফুপাতো ভাই একই গ্রামের তৌফিক, চাচাতো ভাই শাহীনের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। কয়েক বছর আগে তৌফিকের বড় ভাই টিংকুকে সাউফ আফ্রিকা পাঠায় লিটন ও তার ফুপা শফিক। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হলে শফিক টিংকুকে মারধর করে। সেখানে মারা যায় টিংকু। এরপর থেকেই লিটন, তৌফিক ও শাহীনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।যুবদল নেতা লিটনের ফুফাতো ভাই তৌফিক, চাচাতো ভাই শাহিন। লিটন, ওবাইদুর ও আনিচ উভয় আহত লিটনের সহযোদ্ধা ছিলেন এবং আহত লিটনের সহিত সক্রিয়ভাবে বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। স্থানীয়রা জানায়, যুবদল নেতা লিটন এসএসবি ইটভাটার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত কয়েক বছর আগে। সেখানে বর্তমানে শাহীন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। কয়েকদিন আগে পারিবারিক জমি নিয়ে তৌফিকের পিতা ওয়াশী আলম বাচ্চুকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে লিটন। এরই জের ধরে বিরোধ চরমে পৌঁছায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে লিটনকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে তৌফিক, শাহীনসহ আরও কয়েকজন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিটনের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্য হাত ও গুরুতর যখম হয়। বর্তমানে সে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে যুবদল নেতা লিটনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে আন্দোলন করতে চাইছে জেলা বিএনপি। ঘটনা পারিবারিক দ্বন্দ্ব হলেও তারা রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লুটার জন্য দোষ চাপাচ্ছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের উপর। এমনকি ঘটনা কিছু না জানা সত্বেও পাগলা কানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদকে জড়াচ্ছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিটনের এক প্রতিবেশী বলেন, ঘটনাটি পুরোটা পারিবারিক দ্বন্দ্ব। সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক ভাবে ইস্যু করছে বিএনপির লোকজন। যা মোটেও কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, লিটনকে কুপিয়ে যখম করার বিষয়টি পুর্বশত্রুতার। এখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেয়। এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে মুল কারণ বের করে আমরা প্রতিবেদন দিব।
Leave a Reply