এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে পরিষদের সাতজন সদস্যের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এম হারুন অর রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সম্মানিত সদস্যবৃন্দ যে বিষয়ে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে আমি মর্মাহত ও লজ্জিত। শহরের ধোপাঘাটা ও হামদহ এলাকায় দোকান নির্মাণ এবং মাটি ভরাটের বিষয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, প্রকৃত পক্ষে সরকারী সম্পত্তি রক্ষা এবং অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে শুধুমাত্র গর্ত ভরাটের জন্যে অর্থ ব্যয় করা হলেও নির্মাণ শেষে ভাড়া বরাদ্দের টাকা দিয়ে অগ্রিম পরিশোধসহ নির্মাণ কাজের সকল ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
তিনি বলেন,এডিপি থেকে পাওয়া প্রকল্পের সেলাই মেশিন, বাইসাইকেল, ফুটবল, ত্রাণ সামগ্রী এবং কম্বল ক্রয় ও বিতরণ সংক্রান্ত প্রকল্পের বিষয়ে তারা যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ত্রাণ সামগ্রী ও কম্বল যথানিয়মে জেলার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে গরীব মানুষের মাঝে, এবং ফুটবল ক্রয় করে জেলার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,গৃহীত প্রকল্প সমূহ পরিষদের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর অর্থ আত্মসাতের কোন প্রশ্নেই উঠে না,এবং সুযোগও নেই।
তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ থেকে নিতান্তই দরিদ্র এবং অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা নগদ কিংবা চেকের মাধ্যমে দেয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ বেয়ারার চেক দেয়া হয়।
তিনি বলেন, সৃজনী ও তাজ ফিলিং স্টেশনকে আমার বর্তমান পদের সঙ্গে জড়িয়ে তারা যে অভিযোগ করেছেন, অনেক আগেই ঐ প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক দায়িত্ব থেকে আমি অব্যাহতি নিয়েছি।
এছাড়াও পেট্রোল/অকটেনের দাম নির্ধারিত এ কারণে বেশিমূল্যে ক্রয় করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও ভিত্তিহীন। আমার জানামতে কোনো গাছ-কাঠ এখান থেকে বিক্রি করা হয়নি তবে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের মরা গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ সম্পর্কে তারা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গাছগুলো বিধি মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে বিবিক্রি করে সংশ্লিষ্ট হিসাবে অর্থ জমা করা হয়। দাফতরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জেনারেটর কেনা হয়েছে। জেনারেটরের বাজার মূল্য নির্ধারিত। এটা কেনার যথাযথ ভাউচার সংরক্ষণ করা আছে। তিনি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষঢযন্ত্রে লিপ্ত তবে তাদেও এই ষঢযন্ত্র কখনও সফল হবে না। তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম, সিএ শফিউদ্দীন শফিসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য গত ২০ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচিত সাতজন সদস্য এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাৎ,দূর্নীতি,সেচ্ছাচারিতা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
Leave a Reply