অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকার আইন সম্পর্কে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে সচেতন করতে তথ্য কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে তথ্য কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পেশ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এসময় তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং মাসুদা ভাট্টি উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির হাতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পেশ করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। এসময় তথ্য কমিশনার জনাব শহীদুল আলম ঝিনুক, তথ্য কমিশনার জনাব মাসুদা ভাট্টি এবং কমিশন সচিব জুবাইদা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধান তথ্য কমিশনার প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, ২০২২ সালে চাহিত তথ্যের তুলনায় প্রদেয় তথ্যের পরিমাণ ৯৭ শতাংশ।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, তথ্য পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহ মানুষের কল্যাণ প্রসারিত করে এবং দুর্নীতিকে সংকুচিত করে। দুর্নীতি দমনে তথ্য অধিকার আইনের ব্যাপক প্রয়োগের ওপর জোর দেন তিনি।
তথ্য অধিকার আইন এবং এর যথাযথ প্রয়োগ সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ যেন জানতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
পাশাপাশি তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ আরও বাড়াতে প্রশাসন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শহীদুল আলম ঝিনুককে তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গত ২৪ আগস্ট তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইনের ১৫(১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের ওই পদে নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য কমিশনার পদে মাসুদা ভাট্টি ও শহীদুল আলমের নিয়োগের মেয়াদ পাঁচ বছর অথবা তাদের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যেটি আগে ঘটে। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি তথ্য কমিশনে সুরাইয়া বেগমের স্থলাভিষিক্ত হন। আর শূন্যপদে নিয়োগ পান শহীদুল আলম।
Leave a Reply