অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তার কঠোর নিন্দা জানিয়ে একে “জঘন্য অপরাধ” বলে অভিহিত করেছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি গতকাল (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক চিঠিতে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই প্রথমবারের মতো ইহুদিবাদী ইসরাইল তার ঘৃণ্য অপরাধের দায়-দায়িত্ব প্রকাশ্যে নির্লজ্জভাবে স্বীকার করলো। এই স্বীকারোক্তির পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব বেড়ে গেল। একই সাথে এও পরিষ্কার হলো যে, গত পহেলা অক্টোবর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে প্রতিরক্ষামূলক জবাব দিয়েছিল তা ছিল বৈধ এবং আইনগতভাবে যুক্তিপূর্ণ।
আমির সাঈদ ইরাভানি তার চিঠিতে সুস্পষ্ট করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এখনো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান ইরানের এ রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, এ সমস্ত অপরাধের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যদি অব্যাহতভাবে নীরব থাকে তাহলে তাতে ইহুদিবাদী ইসরাইল এ ধরনের অপরাধযজ্ঞ চালাতে ইসরাইলের উৎসাহ বাড়তেই থাকবে।
গত সোমবার ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্বীকার করেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইল হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে।
গত ৩১ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কয়েক ঘন্টা পর ইসমাইল হানিয়ার ওপর গুপ্ত হামলা চালায় ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং তাতে শহীদ হন ইসমাইল হানিয়া। এরপর গত পহেলা অক্টোবর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
Leave a Reply