অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটগত অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর জোট গঠনের সুযোগ রেখে দেওয়া হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ নিজ প্রতীকে—এমন বাধ্যবাধকতা রেখেই সোমবার (৩ নভেম্বর) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ–২০২৫ জারি করেছে সরকার।
আইন মন্ত্রণালয় সেদিনই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে কোনো জোটের মনোনীত প্রার্থী বড় বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না। নিবন্ধিত প্রতিটি দলকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।
এর আগে বিএনপি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠিয়ে আপত্তি জানায়। দলটির দাবি ছিল—জোটবদ্ধ দলগুলোকে যৌথ প্রার্থীর পক্ষে একক প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি সরকারকে অনুরোধ করেছিল, সংশোধিত ২১ ধারা বহাল রাখতে।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনুরোধ উপেক্ষা করে জামায়াত ও এনসিপির প্রস্তাব অনুযায়ী ধারা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
নতুন আরপিও অনুযায়ী, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যৌথ প্রার্থী দিতে চাইলে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে কেবল সেই দলের প্রতীকই জোটবদ্ধভাবে ব্যবহারের সুযোগ পাবে, যার অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীটি নিজে। তবে এ আবেদন তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যেই করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশোধিত আরপিও প্রকাশের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আইন সংস্কারের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো। এর আগে ভোটার তালিকা আইন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা এবং দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালায়ও সংশোধন আনা হয়েছে।
এখন কমিশন সংশোধিত আইনের আলোকে দল ও প্রার্থীদের জন্য নতুন আচরণবিধি জারি করবে বলে জানা গেছে।