October 12, 2025, 1:52 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে টাকার প্রলোভনে বাকপ্রতিবন্ধী ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণ ; স্বামীকে মারধর ; থানায় মামলা দায়ের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজধানীর কাকরাইলের সাউন্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণে জাতীয় পার্টির সমাবেশ পণ্ড আগামীকাল রোববার থেকে দেশে প্রথমবার টাইফয়েডের টিকা প্রদান শুরু ইসরায়েলে আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম দেশে ফিরেছেন মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরে টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৪ জেলে আটক হবিগঞ্জে ভিক্ষুকের মৃত্যুর পর তার ঘরে পাওয়া গেল বস্তা ভর্তি টাকা !  দিনাজপুরে গাঁজাসহ আটক মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভানেত্রী সেলিনা পারভীন নোবেল পুরস্কারে ট্রাম্পের বাদ পড়ায় নোবেল কমিটির সমালোচনায় হোয়াইট হাউস  পাকিস্তানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পুলিশ ও ৬ সন্ত্রাসী নিহত
এইমাত্রপাওয়াঃ

নির্বাচনে মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ইসির কাছে সাংবাদিকদের ৮ দাবি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

রোববার (৩০ এপ্রিল) রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) ব্যানারে সিইসির কাছে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি দেন তারা। এতে সাংবাদিকরা গত ১২ মার্চ জারি করা সংবাদ সংগ্রহে ইসির নীতিমালা প্রত্যাখ্যানের কথাও তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো :

১. নির্বাচন কমিশনের অনুমতিপ্রাপ্ত কার্ডধারী সাংবাদিকদের কোনো ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষে (গোপন ভোট কক্ষ নয়) প্রবেশ করতে কারো কোনো অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সাংবাদিক কার্ডই চূড়ান্ত অনুমতিপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। কেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি বাতিল করতে হবে। এখানে উল্লেখ, সম্প্রতি গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে ইসির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ভোট গ্রহণের অনিয়মের সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসাররা যুক্ত ছিলেন। সুতরাং কোনো অনিয়মে যদি কর্মকর্তা যুক্ত থাকেন তাহলে অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অনুমতি নিতে যে বিলম্ব ঘটবে তার মাধ্যমে কারচুপি আড়াল করার সুযোগ তৈরি করবে।

২. নির্বাচন কভারেজে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। দেশের এমন অনেক ভোট কেন্দ্র আছে যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না।

৩. ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারে ইসির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রচার করতে হয়। এছাড়া সরাসরি সম্প্রচার হলে ভোট নিয়ে প্রশ্ন অনেকাংশেই কমে যাবে।

৪. ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে এসব ব্যক্তিরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকেন তাদের বক্তব্য ছাড়া কোনো মাধ্যমের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ হবে।

৫. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিস কিংবা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহ করে থাকেন। সাংবাদিক কার্ড যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে হবে।

৬. কোনো গণমাধ্যমকর্মী অহেতুক দীর্ঘক্ষণ কোনো ভোটকক্ষে অবস্থান করেন না, যদি না ভোটে কোনো ধরনের অনিয়মের চিত্র তাদের কাছে ধরা পড়ে। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে একটি ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারবে না। সাংবাদিকদের কাজ সময় দিয়ে বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি বাতিল করতে হবে।

৭. প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা কিংবা আলোচিত প্রার্থীরা যখন ভোট দিতে যায় তখন ছবি, ফুটেজ কিংবা সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন টেলিভিশন ও পত্রিকার সংবাদকর্মীরা। এক্ষেত্রে অনেকজন সংবাদকর্মীকে একত্রে কোন কক্ষে প্রবেশ করতে হয়। এছাড়া সাধারণত কোনো ঘটনা ছাড়া একাধিক গণমাধ্যমকর্মী একটি কেন্দ্রে প্রবেশও করেন নাই। তাই দুইজনের অধিক একটি কক্ষে ঢুকতে পারবেন না বলে নীতিমালায় যে ধারাটি রয়েছে তা বাতিল করা উচিত বলে মনে করি আমরা।

৮। সর্বশেষ, ভোটের দিন নির্বাচনে ইন্টারনেটের ব্যবহার সচল রাখতে নির্দেশনা প্রদান করবে নির্বাচন কমিশন।

আরএফইডির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সই করা স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, সংবিধানের ৩৯(১) অনুচ্ছেদের (খ) উপ অনুচ্ছেদে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে। এই নিশ্চয়তা কোনো শর্ত যুক্ত নয়। সুতরাং কোনো বিধি-বিধান, আইন এই স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। আর যদি তা করা হয় তাহলে তা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।

গত ১২ এপ্রিল কমিশন যে নীতিমালা জারি করেছে তাতে আমরা হতাশ এবং বিস্মিত হয়েছি। মতবিনিময় সভায় আরএফইডি লিখিতভাবে ৭ দফা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিয়েছিল। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, এগুলো বিবেচনায় নিয়ম নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু ঘোষিত এই নীতিমালায় আমাদের কোনো দাবিই আমলে নেওয়া হয়নি, যা ২০১৮ নীতিমালার অনুরূপ হয়েছে। একে কার্বন কপি বলা যেতে পারে।

সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সহায়ক শক্তি গণমাধ্যম। তবে নীতিমালার নামে স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ কখনোই মেনে নেবে না আরএফইডি। ইতোমধ্যে এই নীতিমালা দেশে বিদেশে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। সুতরাং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালায় সংশোধনের দাবি জানাই আমরা। নতুবা আরএফইডি সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনকে সাথে নিয়ে দাবি আদায়ে সচেষ্ট হবে।

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page