অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মো. এনামুল হক (অমর শীল) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে সেবা গ্রহীতাদের জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে জেনারেল মা ও শিশু হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত। অভিযানে সহযোগিতা করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।
দণ্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক অমর শীল (৩৫) চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার উলিপুর গ্রামের গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় হাসপাতালটির নিচ তলায় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড)র ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন মো.এনামুল হক নামের একজন চিকিৎসক।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায়, তার প্রকৃত নাম অমর শীল। তিনি ২০০৩ সালে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর বেশি তিনি পড়াশোনা করেন নাই। এ হসপিটালে তিনি গত ৪ মাস যাবত চেম্বার করছেন। এরআগে তিনি জেলা শহর মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন।
পরে জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার এনামুল হক নামধারী ওই ভুয়া চিকিৎসকের সাথে চুক্তিপত্র বা তার সার্টিফিকেট/ডিগ্রির সনদপত্র দেখাতে পারেননি। ভুয়া চিকিৎসক ডা. এনামুল হক প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। রোগী প্রতি ৭শ’ টাকা করে ফি নিতেন তিনি। পরবর্তীতে তথ্য-প্রমাণ ও তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অমর শীলকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
একই সাথে সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসককে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply