অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ ডিসেম্বর বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। আর ১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিখবে, অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিখন হবে। এছাড়া মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষার ভয় ভীতি চাই না। আমরা চাই আনন্দময় শিক্ষাপদ্ধতি হবে এবং আনন্দময় শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক হবে। তারা শুধু প্রযুক্তিবান্ধব নয়, প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনে দক্ষ হবে এবং মানবিক সৃজনশীল মানুষ হবে।
আসন্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আওয়ামী লীগই হচ্ছে সেই সংগঠন যে সংগঠন এ বাঙালির ভাষার অধিকার এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছে, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। আজকে বাংলাদেশ যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে স্বপ্ন দেখছে তা একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কারণেই হয়েছে। তাই এ সংগঠনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন মানেই সারাদেশের মানুষ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সবসময়ই নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে হয়ে থাকে তাই আগামীকাল সম্মেলনের মাধ্যমে যে নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্ব দলের ঐতিহ্যকে বজায় রেখে বাঙালির অধিকার রক্ষায়, বাঙালিকে এগিয়ে নিতে ও স্বপ্ন পূরণে কাজ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো রাজনৈতিক দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের উপস্থিতি এত নেই। একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের যে আইন রয়েছে তা মেনেই দল পরিচালনা করে। নারী পুরুষ নবীন প্রবীণ সবারর ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারসহ মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply