অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধান অতিথির বক্তৃতা শোনা নয়, তার আগ্রহ খাবারের দিকে। সভার মধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন এক শ্রোতা। আর তা করতে গিয়ে খোদ পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থামিয়ে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘খাবার কখন দেওয়া হবে?’ হ্যাঁ, সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে শাহবাজ শরিফের সভায়। আর তার কারণে ভরা সভার মধ্যে বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই কাণ্ডের ভিডিও।
জানা যায়, গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) খাইবার পাখতুনখাওয়ায় এক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন খাইবার পাখতুনখাওয়ার গভর্নর হাজি গোলাম আলী, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবসহ আরও অনেক নেতা।
পাকিস্তানের ওই এলাকাটির উন্নয়ন কীভাবে হতে পারে, তা নিয়েই গুরুগম্ভীর আলোচনা চলছিল সভায়। বক্তব্য রাখছিলেন শাহবাজ নিজেই। কিন্তু তার ভাষণের মধ্যেই এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘খাবার কখন দেওয়া হবে?’ আচমকা এমন চিৎকারে বাধা পড়ে বক্তৃতায়। খানিক হকচকিয়েও যান শাহবাজ শরিফ। তবে দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি উত্তর দেন, ‘চিন্তার কিছু নেই, শিগগির খাবার দেওয়া হবে।’ এরপর ওই ব্যক্তিকে ফের বসে পড়তে বলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।
বক্তৃতা শুনতে অনেকেই খুব একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু ওই ব্যক্তি যে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থামিয়ে দেবেন, তা ভাবতে পারেননি কেউ। ফলে অবাক হয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী-ভিডিওর দর্শক সবাই।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, শাহবাজ শরিফ সেদিন খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য সড়ক, জলবিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় অঞ্চলটির উন্নয়ন না হওয়ায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ শাসিত প্রাদেশিক সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তার জোট সরকার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই পাকিস্তানকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে।’ সূত্র: এনডিটিভি
Leave a Reply