November 21, 2025, 12:47 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ ঝিনাইদহের মহেশপুরে ডেকে নিয়ে ইটভাটার লেবার সর্দারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা ; হত্যার চেষ্টাকারী বাবুল আটক মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযান ফেন্সিডিল-মদ-গাঁজা উদ্ধার অবৈধ ইটভাটায় বিপর্যস্ত মাগুরার পরিবেশ: জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও চলছে ইটভাটা ইরানের প্রখ্যাত ক্বারীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন শুরু বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরোত পাঠাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশের গেজেট জারি কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বোটচওয়ের বাংলাদেশ সফর শুরু আসন্ন নির্বাচনের আগেই ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করতে চায় সরকার :খাদ্য উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের রাযে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ; পরের নির্বাচন থেকে কার্যকর
এইমাত্রপাওয়াঃ

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক না দিয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন ওলামা মাশায়েখরা।  শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে সম্মিলিত আইম্মা পরিষদের ব্যানারে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের সন্তানদের ইসলামি আদর্শে গড়ে তুলতে হলে গানের শিক্ষক নয়, দরকার ধর্মীয় শিক্ষক। গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না, বরং নষ্ট হয়। কোরআন-হাদিসের আলোকে শিক্ষা দিলে তারা হবে প্রকৃত মানুষ। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ চলছে, যা শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ গঠনের পরিপন্থী। এর পরিবর্তে কোরআন-হাদিসের আলোকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা ও নৈতিকতা অর্জন করবে বলে তারা মনে করেন।

তারা অভিযোগ করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে উপেক্ষা করে বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যোগ্য আলেম নিয়োগ করা হোক, যাতে নতুন প্রজন্ম ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জন করতে পারে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও শায়খে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, গানের শিক্ষক নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ আজ সময়ের দাবি। প্রতিটি মুসলমানের জন্য দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ফরজ। আমাদের দেশে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ শিক্ষা ব্যবস্থায় সেই ফরজ শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়নি। ফরজে আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের, কিন্তু তারা তা পালন করছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইসলামি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির নৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। যদি সরকার ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি করে কিংবা এই দাবি উপেক্ষা করে, তবে আমরা দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলিম জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামব। প্রয়োজনে সরকারকে আমরা বাধ্য করবো।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রচার সম্পাদক হামিম আব্দুল আজিজ, কলরবের প্রশাসনিক পরিচালক মুফতি সাঈদ আহমদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page