অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মালদ্বীপে এক নারী মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগে দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ওই মন্ত্রীর নাম ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিম।
তিনি ভারত মহাসাগরীয় এই দেশটির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের পুলিশ দেশটির একজন পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন। তবে দেশটির মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের ওপর ‘কালো জাদু’ করার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিমকে গত রোববার রাজধানী মালে থেকে অন্য দুজনের সাথে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তদন্তের জন্য এক সপ্তাহের জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে তার গ্রেপ্তারের কারণ সম্পর্কে কোনও বিবরণ তারা দেননি।
দ্য সান নামে মালদ্বীপের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ডক্টর মোহাম্মদ মুইজ্জুর ওপর কালো জাদু করার দায়ে শামনাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে’। তবে মালদ্বীপের পুলিশ এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি।
এএফপি বলছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বিপর্যয়ের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপও রয়েছে এবং এমন একটি দেশে ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিম যে অবস্থান ও দায়িত্বে ছিলেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া জাতিসংঘের পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের ক্রমবর্ধমান উচ্চতা চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ মালদ্বীপকে কার্যত বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে পারে।
অবশ্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালদ্বীপে বিদ্যমান দণ্ডবিধির অধীনে জাদুবিদ্যা করা কোনও ফৌজদারি অপরাধ নয়, তবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে ইসলামিক আইনের অধীনে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।
ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপপুঞ্জজুড়ে বসবাসরত লোকেরা ব্যাপকভাবে ঐতিহ্যবাহী নানা রীতি-নীতি পালন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করে, (কালো জাদুর মাধ্যমে) তারা প্রতিপক্ষকে অভিশাপ দিতে পারে।
কালো জাদুর রীতি-নীতি পরিচালনা করার অভিযোগ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির মানাধুতে তিন প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে ৬২ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছিলেন। দীর্ঘ পুলিশি তদন্তের পরে এ বিষয়ে দেশটির মিহারু নিউজ সাইট গত সপ্তাহে রিপোর্ট করে।
নিউজ সাইটটি পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলেছে, হত্যার শিকার ওই নারী জাদুবিদ্যা করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
এর আগে ২০১২ সালে পুলিশ অফিসারদের ওপর ‘অভিশপ্ত মোরগ’ নিক্ষেপ করার অভিযোগে পুলিশ একটি বিরোধী রাজনৈতিক সমাবেশের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল।
Leave a Reply