অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের পরিস্থিতি দিন দিন নাজুক হচ্ছে। একদিকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের পক্ষে সমর্থন জোরালো হচ্ছে।
নাইজারে ইউরোপের পরাশক্তি ফ্রান্সের আধিপত্য দীর্ঘদিনের। স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত ফরাসি শাসনের সরাসরি অধীনে ছিল খনিজ সম্পদে ভরপুর নাইজার। স্বাধীনতা পাওয়ার পরও দেশটিতে প্যারিসের হস্তক্ষেপ কমেনি। জনগণ এতে বেশ ক্ষিপ্ত ছিল। আর নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমও ছিলেন পশ্চিমাভক্ত।
নাইজারে সামরিক প্রশাসনের শত শত সমর্থক শনিবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে ফরাসি সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। রাজধানী নিয়ামিতে ফরাসি সামরিক ঘাঁটির সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশটি হয়। এর একদিন আগে ফরাসি দূতকে নাইজার ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেয় জান্তা।
আগের বিক্ষোভের মতোই শনিবার প্ল্যাকার্ড বহন করে ফ্রান্সবিরোধী স্লোগান দেয় জান্তা সমর্থকরা। নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য ফ্রান্স সরকারকে অভিযুক্ত করে তারা। ফরাসি সেনা ও রাষ্ট্রদূত নাইজার না ছাড়লে তাদের দূতাবাস এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকিও দেওয়া হয় এ সময়।
রামাতু ইব্রাহিম বুবাকার নামের একজন বলেন, ‘কে আমাদের বন্ধু হবে সেটা বেছে নেওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’
নাইজারে অন্তত দেড় হাজার ফরাসি সেনা মোতায়েন আছে। সাহেল অঞ্চলে আইএস এবং আল কায়েদার মতো জড়িত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
Leave a Reply