অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরে বাসাবাড়ির বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার, যা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শহরের আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতামূলক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।

সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটির (এসডিসি) আয়োজনে এবং ফরিদপুর পৌরসভা ও প্র্যাকটিকাল অ্যাকশনের সহায়তায় ফিনিশ মনডিয়াল প্রকল্পের আওতায় বাসাবাড়ির বর্জ্য সংগ্রহ করে শহরের আদমপুরে নিজস্ব প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রে এ জৈব সার উৎপাদন করা হয়।

বাসাবাড়ির বর্জ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সামাজিক সভা করছে এসডিসি। এরই অংশ হিসেবে স্কুল পর্যায় থেকে সচেতনতা তৈরি করতে ও নিজ বাড়িতে বর্জ্য সচেতনতা বাড়াতে আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সভার আয়োজন করা হয়।

এসডিসির পরিচালক কাজি আশরাফুল হাসান কচির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. মতিউর রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জয়নুল আবেদিন। আরও উপস্থিত ছিলেন ফিনিস মনডিয়াল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ম. হাবিবুর রহমান, ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর মো. খালিদ মাহমুদ সজিব।

এসডিসির পরিচালক কাজি আশরাফুল হাসান কচি বলেন, প্রতিদিন বাসাবাড়িতে প্রচুর বর্জ্য তৈরি হয়। যা আমরা যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ দূষিত করছি। এখন ফরিদপুর পৌরসভার সহায়তায় আমরা সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার উৎপাদন করছি। আমাদের নিজস্ব ভ্যানে করে প্রতিটা বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকি।

তিনি বলেন, অনেকেই বর্জ্য দিতে চান না। বর্জ্যগুলো যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ দূষিত করেন। আজ আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেছি যাতে তোমারা নিজেরা বর্জ্য বিষয়ে সচেতন হতে পারো ও পরিবারকে সচেতন করতে পারো।

পৌর প্যানেল মেয়র মো. মতিউর রহমান শামীম বলেন, বাসাবাড়ির এ বর্জ্য পরিবেশকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে যার প্রভাব পড়ে জীববৈচিত্র্যের ওপর। অন্যদিকে এই বর্জ্যই আমরা প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সারে রূপান্তরিত করছি যা আমাদের কৃষিতে ভূমিকা রাখছে।