অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর ও তাদের গাড়ি ভাংচুর এবং সদস্যদের মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ প্রধান এ কথা বলেন।
একইদিন সকালে বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থা চেষ্টা করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে গাফলতির অভিযোগ এনে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালায় কিছু বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী। এ সময় ফায়ার কর্মীদের মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘হামলার সময় হাজারো মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিল। আমাদের অনেক ফোর্স সেখানে গিয়েছিল। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে পরবর্তীতে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সকালে আগুন লাগার খবর পাবার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। আমাদের সকল অফিসার এবং প্রায় দুই হাজার ফোর্স এখানে মোতায়ন করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন এখানে মাতাত্মক আগুন লেগেছে। মূলত সকাল ছয়টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লেগেছিল। আমরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে পাঁচটি ওয়াটার ক্যানন ঘটনাস্থলে এনেছি। এছাড়া আমাদের ওয়াটার রিজার্ভ থেকে প্রায় দুই লক্ষ লিটার পানি এখানে সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস অক্লান্তভাবে এখানে পরিশ্রম করেছে। তাছাড়া এখনও তারা কাজ করছে। আমরাও দায়িত্ব পালন করেছি। র্যাব, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী সবাই মিলে এখানে দায়িত্ব পালন করেছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে বলেন।’
পুলিশ সদরদপ্তরে আগুন লাগার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমাদের একটি পাঁচতলা ব্যারাকে আগুন লেগেছে। এখান থেকে সকল সদস্য বের হতে পেরেছে কিন্তু মালামাল পুড়ে গেছে। ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র কি কি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খোঁজখবর করা হচ্ছে। মূলত ডিএমপি এক্সচেঞ্জটা পুড়ে গিয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং সদস্যদের মারধরের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘যখন ঘটনা ঘটেছে তখন হাজারো মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিল। হামলার পর পর সেখানে আমাদের অনেক ফোর্স সেখানে গিয়েছিল। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে পরবর্তীতে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আগুন লাগার পরপরই হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড় হয়। এক্ষেত্রে পুলিশের প্রস্তুতি কি ধরনের জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তো আমাদের তেমন প্রস্তুতি ছিল না। তবে পরবর্তীতে পুলিশ সব নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রেখেছি, যার ফলে এত বড় ঘটনার পরও ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল ছিল।’
আগুন লাগার পরপরই স্বাভাবিকভাবে একটি প্রশ্ন ওঠে এখানে নাশকতার কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আপনারা জানেন ঘটনার পর পরই একটি কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির তদন্তের পরে আমরা আশা করছি, এমন কোনও কিছু থাকলে সব বেরিয়ে আসবে। যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে তাই আমরা সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে পারি। এখানে তো বিশেষজ্ঞ মতামত দরকার। ফায়ার সার্ভিস অভিজ্ঞ, তারা কাজ করছে।’