অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক গাজায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর গণহত্যামূলক অপরাধ এবং এর ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি বিশ্বকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা সম্পর্কে গাজার একজন ফিলিস্তিনি ডাক্তারের গল্পের প্রতিক্রিয়া হিসাবে X সামাজিক নেটওয়ার্কে একটি বার্তা প্রকাশ করে লিখেছেন, “আসুন, এই গল্পগুলোর একটা গল্প হয়ে যাক। গণহত্যার শিকারদের আমরা কখনোই ভুলে যাব না।” পার্সটুডে অনুসারে,মানবিক বিষয়ক জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মহাসচিব জয়েস মেসোয়া নিরাপত্তা পরিষদের সভায়ও ঘোষণা করেছেন যে ইসরাইলের হত্যার শিকারদের মধ্যে ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
অন্যদিকে, সুইডিশ পরিবেশবাদী এবং মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থানবার্গ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় কিছু সরকারের অংশগ্রহণের প্রতিবাদ করে একটি ভিডিও প্রকাশ বলেছেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরাইলকে জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে গাজায় গণহত্যা চালানোর কাজে সহযোগিতা দেয়ার জন্য সবার উচিত দেশে দেশে তুরস্ক এবং আজারবাইজান দূতাবাসগুলোর সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করা।’
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক উপ-মহাসচিব ইলজে ব্র্যান্ড কেহরিসও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জোর দিয়ে বলেছেন যে,ইহুদিবাদী হামলার তীব্রতার কারণে গাজায় এখন কোনো নিরাপদ স্থান নেই। এই অঞ্চলের অবস্থা সংকটজনক এবং এখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বিরাজ করছে।
এদিকে; জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর নিরাপত্তা পরিষদকে গাজার দুর্ভিক্ষ সংকটের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। মনসুর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন,‘আসুন চিন্তা করা যাক, ইসরাইল জাতিগত নির্মূল এবং ঔপনিবেশিক লক্ষ্য এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি যুদ্ধ পদ্ধতি হিসাবে দুর্ভিক্ষ প্রয়োগ করেছে।
ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু (ইউএনআরডব্লিউএ)’র প্রধান কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজের মতে,গাজা উপত্যকায় প্রবেশের জন্য সাহায্যের পরিমাণ গত কয়েক মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএর এই কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন: শিশুরা প্রাণ হারাচ্ছে। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানকার মানুষের সবকিছুই দরকার।
Leave a Reply