অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণে আহত হচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুরা। অঞ্চলটিতে ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক ডিভাইস থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আল জাজিরার ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি সানাদ-এর যাচাই করা সোশ্যাল মিডিয়া ফুটেজে দেখা গেছে, অবিস্ফোরিত বোমার আঘাতে ইয়াজান এবং জুদ নুর নামে দুই ফিলিস্তিনি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট অনুসারে, গাজা শহরের পশ্চিমে নাসর পাড়ায় দুই ছেলে তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে ফিরে আসার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। তাদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত আল-শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজা সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস সতর্ক করে দিয়েছে, গত দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত বোমা, রকেট এবং গোলা থেকে তৈরি হাজার হাজার বিস্ফোরক ডিভাইস রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে অন্তত ৭ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, বিশাল ধ্বংসস্তূপ অপসারণের প্রক্রিয়া গুরুতর বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির অভাব দেখা দিয়েছে। সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া এবং নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আনতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষে আরও শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।