অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে বন্দি বিনিময় ও চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসলামি জিহাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।
তিনি লেবানন সফরে গিয়ে গতকাল (বুধবার) বৈরুতে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালা ও হামাসের পলিটব্যুরোর উপ প্রধান খলিল আল-হাইয়্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় গাজা-ভিত্তিক ওই দুই প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যান্য সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে কর্মকর্তারা গাজা উপত্যকার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং চুক্তি নিয়ে কথা বলেন। বন্দি বিনিময় চুক্তিটি আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তেল আবিব বলেছে, এটি শুক্রবারের আগে কার্যকর হচ্ছে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ নেতারা চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভবনা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি গাজা উপত্যকার নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক ত্রাণ সরবরাহের ব্যাপারে আলোচনা করেন। তবে এ আলোচনার খুঁটিনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
এর আগে বন্দি বিনিময় ও সাময়িক যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত হামাসের প্রস্তাবনা বুধবার ভোররাতে অনুমোদন করে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রাত ৮টায় ইসরাইলের ‘যুদ্ধ মন্ত্রিসভা’ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসে এবং বুধবার ভোররাত ৩টায় বৈঠক শেষ হয়।
ওই বৈঠকে অনুমোদিত চুক্তি অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে গাজায় চার দিন ইসরাইলি হামলা বন্ধ রাখার কথা ছিল। এ ছাড়া চুক্তির আওতায় অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা ইসরাইলের। পাশাপাশি গাজায় প্রতিদিন ৩০০ ট্রাক করে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়ার কথা এবং এসবের বিনিময়ে হামাসের পক্ষ থেকে ৫০ ইসরাইলি নারী ও শিশু বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে।
Leave a Reply