অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সাতটি নতুন অবৈধ ইহুদি বসতিস্থাপনা নির্মাণের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, কোনো শান্তি চুক্তির জন্য ইসরাইলকে বিশ্বাস করা উচিত নয়।
গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “পশ্চিম তীরে ‘এলাকা বি’ হিসেবে পরিচিত জমি যা ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাতে ফাঁড়ি এবং বসতি স্থাপন করলে একথাই পরিষ্কার হয় যে, দখলদারদের সাথে শান্তি বন্দোবস্তের বিকল্পগুলোর ওপর নির্ভর করা নিতান্তই শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে তাদের উপস্থিতি মুছে দেয়ার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল যে অপরাধমূলক নীতি অনুসরণ করছে এবং পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার জন্য যে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয় হামাসের এই বিবৃতিতে।
ইসরাইলের কথিত মানবাধিকার সংস্থা ‘পিস নাউ’ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরো সাতটি নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণ করছে। হামাস তাদের বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরেছে। সংগঠনটি বলেছে, এসব বসতি নির্মাণ ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ইহুদিকরণ পরিকল্পনারই অংশ। ইসরাইলের এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে পাস হওয়া প্রস্তাবের চরম লংঘন বলে উল্লেখ করেছে হামাস।
ইসরাইলের উগ্রবাদী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সম্প্রতি বলেছেন, গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে এবং পশ্চিম তীরের ব্যাপারে আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপন কার্যক্রম বাড়ানো যায়। এর মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রতিহত করা যাবে বলে মন্তব্য করেন স্মোট্রিচ।
Leave a Reply