অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে অদ্ভূত এক আলোকরশ্মি দেখা যায়। অনেকেই এটিকে ভিনগ্রহের প্রাণী বা ইউএফও মনে করেছেন।
অনেকে আবার এটিকে ভারতের উৎক্ষেপণ করা একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে দাবি করছেন। তবে এ আলোকরশ্মির সূত্র কোথা থেকে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরপরই ফেসবুকে অনেকে ওই আলোকরশ্মির ছবি দিয়ে জানাতে থাকেন অদ্ভূত কিছু একটা দেখেছেন তারা। একই অবস্থা হয়েছে ভারতেও। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে দেখা গেছে এ আলোকরশ্মি।
তবে ওই আলোর সম্ভাব্য একটি সূত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে কলকাতার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে।
ওইদিন নিজেদের তৈরি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল অগ্নি-৫ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ভারত। আর সেটিকেই হয়তো ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশে দেখা যায়।
কেউ কেউ আবার এটিকে উল্কাপাতের আলো বলেও মনে করছেন। কারণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আগেই খবর এসেছিল যে, গতকাল রাতে প্রতিঘণ্টায় ১২০টি উল্কা আতশবাজির মতো খসে পড়বে।
তবে ভারতের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ দেবীপ্রসাদ দুয়ারী বলছেন, এটি উল্কাপাতের আলো হওয়া সম্ভব নয়। তবে কোনো স্যাটেলাইটের খণ্ডাংশ হতে পারে, যা ১০ থেকে ১২ গ্রাম ওজনের হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন উল্কাবৃ্ষ্টি হচ্ছে, তবে সেটা রাত ১২টা নাগাদ হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আলোর আকার কিছুটা বড়। এটা যে উল্কাবৃষ্টি নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত।
জানা যায়, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার উপকূলবর্তী আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি পাঁচ হাজার ৪০০ কিলোমিটার (৩ হাজার ৩০০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সে হিসাবে এটি চীনের মূল ভূখণ্ডেও আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে।
২০১২ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শুরু করে ভারত। অগ্নি-৫ ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তৈরি নবম ক্ষেপণাস্ত্র।
Leave a Reply