অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেলাওয়ারের বাড়ি থেকে সরকারী গোপনীয় নথির আরও পাঁচটি পৃষ্ঠা পাওয়া গেছে। বাইডেনের আইনজীবী রিচার্ড সউবার নথিগুলো খুঁজে পান। সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বিচার মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী রিচার্ড সউবার জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) তিনি নিজে ওই নথিগুলো খুঁজে পান। এর পরপরই তিনি সেগুলো বিচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি বাইডেনের সহযোগীদের বরাত দিয়ে বলছে, এসব নথি বাইডেন যখন বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনকার। এরই মধ্যে গোপন নথিগুলো বাইডেন কীভাবে নিজের কাছে রাখলেন, কেন আর্কাইভে জমা দেননি, তা তদন্তে একজন স্পেশাল কাউন্সেলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাইডেনের ডেলাওয়ারের উইলমিংটনের ওই পারিবারিক বাড়ির গ্যারেজ থেকে ‘গোপনীয়’ লেখা একটি নথি উদ্ধার হয়। বাইডেন শেভ্রোলেট করভেট স্পোর্টস গাড়ি রাখতে ওই গ্যারেজটি ব্যবহার করতেন।
হোয়াইট হাউস বলেছে, তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যে অতিরিক্ত পাঁচ পৃষ্ঠা পাওয়া গেছে সেগুলো মিলেছে তার বাড়ির ভেতরেই। টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে সউবার জানান, প্রেসিডেন্টের আইনজীবীদের নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকায় বুধবার গোপন নথির পাওয়ার আশেপাশের জায়গায় অনুসন্ধান চালানো যায়নি।
‘কিন্তু সউবারের নিরাপত্তা অনুমোদন থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই বাড়িতে যান ও বিচার মন্ত্রণালয়কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নথিগুলো প্রস্তুত করেন।
তিনি বলেন, এক পৃষ্ঠার নথিটি হস্তান্তরের জন্য আমি বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বাড়িতে যাই। সেসময় নথির সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের মধ্য থেকে গোপনীয় লেখা আরও পাঁচটি পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ছয় পৃষ্ঠার গোপন নথি হস্তান্তর করা হয়।
এই ছয় পৃষ্ঠার বাইরে, ডিসেম্বরে বাইডেনের বাড়ির গ্যারেজ এবং নভেম্বরে পেন বাইডেন সেন্টারে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পরবর্তী সময়ে থাকা বাইডেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকেও অনেক গোপন নথি উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পেন বাইডেন সেন্টার থেকে ১০টির মতো গোপন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নথিগুলোর মধ্যে কয়েকটি ছিল ‘টপ সিক্রেট’ বা অতি গোপনীয় ক্যাটাগরির।
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথিগুলো সাধারণত কনফিডেন্সিয়াল, সিক্রেট ও টপ সিক্রেট- এ তিন ভাগে বিভক্ত। কোনো টপ সিক্রেট নথি ফাঁস হলে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
২০২২ সালে আইনবহির্ভূতভাবে গোপন নথি নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখার অভিযোগ ওঠে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। জো বাইডেনও এর ব্যাপক সমালোচনা করেন।
এখন বাইডেনের বাড়ি ও আগের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে গোপন নথি উদ্ধারের ঘটনা ডেমোক্র্যাট নেতাদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে।
রিপাবলিকানরা এখন প্রেসিডেন্টের ডেলাওয়ারের বাড়িতে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছেন। তবে এ তথ্য প্রকাশ করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply