অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি স্কুলের বাইরে একটি গণকবর থেকে চোখ ও হাত বাঁধা অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, দখলদার ইসরাইলি সেনারা নির্বিচারে বোমা মেরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করার পর এবার আটক বন্দিদের ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করতে শুরু করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, বিশ্ববাসী গাজা উপত্যকায় পাশ্চাত্যের নৈতিক অধঃপতনের জলজ্যান্ত নমুনা দেখতে পাচ্ছে।
কানয়ানির এক্স পোস্টে বলা হয়েছে, “উত্তর গাজায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপের ভেতর থেকে বহু ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এসব হতভাগ্য ব্যক্তির হাত ও চোখ বেঁধে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা।” তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের নৈতিক স্খলন নতুন কোনো বিষয় নয় কিন্তু তেল আবিবের অন্ধ সমর্থক পশ্চিমারা মুখে মানবাধিকারের ধুয়া তুললেও তাদের নৈতিক অধঃপতনও যে সীমার বাইরে চলে গেছে তা এ ঘটনায় আরেকবার স্পষ্ট হয়েছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনারা চলে যাওয়ার পর সেখানকার খলিফা বিন জায়েদ প্রাইমারি স্কুলের আঙ্গিনা থেকে অন্তত ৩০ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহের হাত ও চোখ বাঁধা ছিল।
ঠিক কবে এসব হতভাগ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে গত অক্টোবর মাসে ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করলে স্কুলটিতে ঘরবাড়ি হারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে ডিসেম্বর মাসে আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করে বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে বাকিদের ওই স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর দখলদার সেনারা ওই স্কুলে ঘাঁটি স্থাপন করে সামরিক অভিযান চালাতে থাকে।
Leave a Reply