অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশ মাছ রপ্তানি করে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর মৎস্য ভবনে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ খাতের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের জোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনোভাবেই হেলায় দেখা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন। বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন। কাজেই তাদের স্বার্থেই আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।
Leave a Reply