ফারুক আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি : ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে ইসলামী আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি ও সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মুফতী মোস্তফা কামাল ও সেক্রেটারী হাফেজ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দলীয় আবাসন প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে দলীয় কতিপয় নেতা-কর্মী সূত্র থেকে জানা গেছে।
গত ১০ নভেম্বর/১৯ তারিখে ইঃশ্রঃআঃমাঃ/২০১৯/০৬, স্মারকে ইসলামী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি মহাসচিব, ৫৫/বি পুরানো পল্টন নোয়াখালী টাওয়ার, ঢাকা বরাবর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি মুফতী মোস্তফা কামাল ও সেক্রেটারী হাফেজ মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু অদ্যবধি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ হতে কোন সুরাহ না করার কারনে মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী আন্দোলন কমিটি, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কমিটি, ইসলামী যুব আন্দোলন কমিটি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কমিটি ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কোন উন্নতি হয়নি।
গত ৩ বৎসর পূর্বে মরহুম শায়েখের নামে ‘ফজলুল করিম ট্রাস্ট ভবন’ নির্মান করার জন্য রশিদ বই, হ্যান্ড বিল, মাগুরা জেলার সকল উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটির নিকট টাকা কালেকশন করার জন্য বিতরন করা হয়। বহু টাকা কালেকশন হইয়াছে কিন্তু টাকা জমার রেজিস্ট্রার না থাকায় উক্ত টাকার কোন হদিস নেই।
উক্ত টাকা ইসলামী আন্দোলনের মাগুরা আসনের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল আত্মসাৎ করেছেন এবং মাগুরাতে যখন রহিঙ্গাদের জন্য টাকা কালেকশন হয় সেই টাকা ঢাকাতে না পাঠিয়ে মাগুরা আল আরাফা ব্যাংকে মুফতী মোস্তফা কামালের নামে যাহার ব্যাংক হিসাব নং ৩৭৪ (সেভিংস) এ জমা রাখিয়াছে ৪,২৭,৪১৭/- (৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৪ শত ৭০টাকা নিজ নামে এবং মুফতি মোস্তফা কামাল মাগুরাতে ইসলামী আবাসন প্রকল্প নামে একটা এনজিও খোলে। সেই এনজিওর যে সকল গ্রাহক তৈরী করেন তাহাদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহন করে আত্মসাৎ করেছেন।
ঐসব গ্রাহকদের মধ্যে মঘী ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মোছাঃ হোসনে আরা বেগমের ১,৮০,০০০ টাকা, শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের শত্রুজিৎপুর গ্রামের মুফতী ফকরুল ইসলামের ১,৭০,০০০ টাকা, মহম্মদপুর মাওঃ আবু মুছার ২,৩০,০০০ টাকা, শালিখা মাওঃ আব্দুর রহমানের ২,৩০,০০০ টাকা, মাগুরা মাওঃ সাইদের ২,০০,০০০ টাকা, মাগুরার মাওঃ ইসরাফিল ২,০০,০০০ টাকা, মাগুরার মাওঃ আকরাম হোসেনের ৩,০০,০০০ টাকা, শত্রুজিৎপুর গ্রামের মাওঃ ইকরামুল হকের ২,০০,০০০ টাকা, সুপার বারাশিয়া আলিম মাদরাসা মাওঃ আবুল বাসারের ২,৩০,০০০ টাকা, আড়পাড়া, ও শালিখার আলমগীর হোসেনের নিকট থেকে ২০৯০০০/- টাকা গ্রহণ করেছেন। যাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।


ঐ সকল গ্রাহকরা এখন টাকা পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এবং মুফতী মোস্তফা কামাল ঐ সকল গ্রাহকদের বলছে, আবাসন প্রকল্পের নামে জমি ক্রয় করা আছে উক্ত জমি বিক্রয় করিয়া আপনাদের টাকা ফেরৎ দিবো। কিছু জমি ক্রয় করা আছে কিন্তু সেই জমি ক্রয় করা আছে মুফতী মোস্তফা কামালের নিজ নামে এবং উক্ত জমি বিক্রয় করিয়া যে টাকা হইবে সেই টাকা দিয়া ৫/৭ জনের টাকাও পরিশোধ হইবে না। আবাসন প্রকল্পের সদস্য আনুমানিক ১০০ জনের বেশি।
উক্ত দুর্নীতিকাজ মুফতী মোস্তফা কামালকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা- ২ (শালিখা-মোহাম্মপুর) আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় নিজ দলের সদস্যরাই তার বিরোধীতা করছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে তার ভরাডুবির আশংকা করা হচ্ছে।