March 10, 2025, 4:02 am
শিরোনামঃ
বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ২ ফ্ল্যাট, ৩১৫ একর জমি জব্দ মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ হিজবুত তাহরীরের ৫ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণ ঝিনাইদহে কৃষকদের ‘অবহিতকরণ-পরিকল্পনা প্রণয়ন-মূল্যায়ন’ বিষয়ক কর্মশালা চট্টগ্রামে ৩৯ ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ গ্রেফতার  নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় ৪০ জনেরও বেশি বন্দী নিহত : নিউ ইয়র্ক টাইমস মুক্তি পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ; আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল সিরিয়ার সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল লেবাননের হিজবুল্লাহ
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

যশোরে লাইসেন্সবিহীন ২৬ হসপিটাল ক্লিনিকে চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা

 ইয়ানূর রহমান : যশোরে লাইসেন্স নেই ২৬টি বেসরকারি হসপিটাল ও ক্লিনিকের। এসব প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে চলছে রোগীদের অস্ত্রোপচার, চিকিৎসা ও প্যাথলজি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চেম্বারে নিয়মিত না বসলেও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে চিকিৎসকদের নাম লেখা হচ্ছে। ফলে রোগীরা প্রতারণা শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি নির্দেশের কোন রকম তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র যেনতেনভাবে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে নেমে পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীরা। তবে যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কোন হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার সুযোগ দেয়া হবে না।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্স, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সেবিকা, প্যাথলজিস্ট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র না থাকাসহ নানা অনিয়মের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে এসব হসপিটাল ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে।  অভিযোগ রয়েছে, প্যাথলজি টেস্টের জন্য এসব হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে উন্নতমানের কোন যন্ত্রপাতি নেই। প্যাথলজি পরীক্ষা নিরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। অবৈধ এসব হসপিটাল-ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবার মানসম্মত কোন পরিবেশ নেই। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার জন্য যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নেই।
শর্তানুযায়ী ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী ২ জন সেবিকা, ৩ জন সুইপার ও ৮০০ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও মানা হয়নি। ১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে রোগী প্রতিটি তলায় স্থান থাকতে হবে নূন্যতম ৮০ বর্গফুট। সরকারি এই নির্দেশনারও তোয়াক্কা করা হয়নি। এসব হসপিটাল ক্লিনিকের বড় বড় সাইনবোর্ডে একাধিক চিকিৎসকের নাম থাকলেও তারা নিয়মিত চেম্বারে বসেন না।  মালিকপক্ষ এসব চিকিৎসকেদের সাথে  চুক্তি করে সাইনবোর্ডে তাদের নাম ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদের ঠকাচ্ছে।

সিভিল সাজর্ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ২৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হলো, যশোর শহর ও সদর উপজেলার পিস হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যশোর সিটি হসপিটাল, নুরুল ইসলাম ডায়াবেটিক সেন্টার, খাজুরা বাজারের মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাহিমা ক্লিনিক ও ডায়াবেটিক সেন্টার, চৌগাছা উপজেলার মমতা প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিগমা মেডিকেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাঁকড়া মেডিকেল এন্ড ডায়াগনিস্টক সেন্টার, আবিদ ডায়াবেটিক  হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জননী প্যাথলজি এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার, শার্শা উপজেলার মুক্তি
ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেনাপোল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ক্লিনিকের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অভয়নগর উপজেলার এলবি হাসপাতাল, বাঘারপাড়া উপজেলা হাজী ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল, ফাতেমা ক্লিনিকের ডায়াগনস্টিক
সেন্টার,  মণিরামপুর উপজেলার তফি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক, রাজগঞ্জ ক্লিনিক,  নাজনিন ক্লিনিক ও কলম কথা হেলথ কেয়ার।

সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান জানান, আগের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন অবৈধ ৫৫ ক্লিনিক ও হসপিটাল বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সেগুলোর কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে আরো কয়েকটি অবৈধ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। বাকি অবৈধ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, অবৈধ হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নিম্মমানের এসব প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও  ত্রুটির মধ্যে রোগীর অস্ত্রোপচার, চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। অথচ মানসম্মত যন্ত্রপাতি বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই কারো। মূলত ব্যবসার ফাঁদ পেতে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসাসেবার নামে কাউকে প্রতারণার সুযোগ দেয়া হবেনা। নিয়ম মেনেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। অবৈধ হসপিটাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হয় ।

 

আজকের বাংলা তারিখ

March ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Feb    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  


Our Like Page