অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন: মার্কিন সরকার আবারও প্রমাণ করেছে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে নারী ও শিশুদের হত্যা করাসহ গাজার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের প্রধান হোতা তারাই।
অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ বন্ধে গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে সংযুক্ত আরব আমিরাত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল সেই প্রস্তাবের পক্ষে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য রায় দিয়েছে। কেবল আমেরিকা বিপক্ষে ভোট দিয়েছে আর ব্রিটেন ভোটদানে বিরত ছিল।
যুদ্ধ বন্ধের বিপক্ষে আমেরিকার ভোট দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি গাজায় জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধ বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে পুনরায় মার্কিন ভেটো দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন: আমেরিকা আবারও প্রমাণ করলো গাজায় নিরপরাধ নারী, শিশু, বৃদ্ধহত্যাসহ ফিলিস্তিনীদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করার মূল হোতা তারাই।
কানয়ানি বলেন: ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে ইসরাইলের নির্বিচার গণহত্যার শুরু থেকেই আমেরিকা ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজদের মদদ জুগিয়ে এসেছে।
আমেরিকার বর্তমান সরকার যথারীতি দ্বৈতনীতির আশ্রয় নিয়েছে। তারা একদিকে গাজার শিশু এবং বেসামরিক মানুষের জীবনের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছে আবার গত সপ্তায় ইসরাইলকে তাদের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তার ২০০তম চালান পাঠিয়েছে।
ইরানের কূটনৈতিক সংস্থার এই মুখপাত্র আরও বলেন: এতে কোন সন্দেহ নেই যে মার্কিন সরকার প্রায় ১৮ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনী হত্যায় জড়িত ছিল। তিনি স্পষ্ট করে বলেন: এ অঞ্চলে যুদ্ধের বিস্তারের দায় অবশ্যই আমেরিকা ও ইসরাইলকেই নিতে হবে।
Leave a Reply