অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল শিফা হাসপাতাল রক্তগঙ্গায় পরিণত হয়েছে। আল শিফা হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বিবিসির।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা সামগ্রী প্রয়োজন। সংস্থাটি বলছে, তারা গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) আল শিফা হাসপাতালে সামান্য কিছু চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেখানে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার অনেক লোকজনই এখন আল শিফা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে সেখানকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।
প্রতিদিনই সেখানে প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য ভিড় করছে। আহত লোকজন মেঝেতে বসে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে নেই।
গাজার সবচেয়ে বড় মেডিকেল কমপ্লেক্স আল শিফা হাসপাতাল। ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের শুরু থেকেই এ হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করে। কিন্তু সেখানে হামাসের একটি নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে এমন অভিযোগে হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ওই হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ১০০ জন। এর আগেও ওই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, জাবালিয়ার একটি মেডিকেল ভবনে হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে।
আহতদের মধ্যে অনেকেরই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১১টিতে এখন কোনো রকমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply