অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বিএনপিকে আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সড়কে বা রাজপথে শক্তি প্রদর্শন নয়, কারণ রাজপথে শক্তি প্রদর্শন আর ভোট এক জিনিস নয়। টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে।’ সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি হবো, যদি বিএনপিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে তাহলে গণতান্ত্রিক চর্চা ঠিকমতো হবে না। আমরা চাই, নির্বাচনে প্রতিটি দল সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে- সে জন্য আবারও সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজ তিন ঘণ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, তারা সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবেন।’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমি আশ্বস্ত করছি, ভোটাধিকার প্রয়োগে স্বাধীনভাবে ভোট প্রদানে কোনও অন্তরায় যে কেউ সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘গাইবান্ধার উপনির্বাচনে তদন্ত কমিটি তদন্ত করে যাদের দোষী বলে চিহ্নিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট যারা ভোট কেন্দ্রে ছিল তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে আমরা ওই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে যারা পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা কেউ আগামী উপ নির্বাচনে এজেন্ট হিসেবে থাকতে পারবেন না। বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো।’
আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অব. আহসান হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা, রিটার্নিং কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Leave a Reply