অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পশ্চিমা সরকার ও গণমাধ্যমগুলো প্রতিনিয়ত ইরান বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা বলছে যে, ওই সময়কার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেয়া লোকজনকে গ্রেফতার করেছে ইরান।
পশ্চিমা এই অপপ্রচারণার জবাবে আমির আব্দুল্লাহিয়ান গতকাল তার টুইটার একাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এই দাবি করেন।
মাহসা আমিনি নামে এক কুর্দি তরুণী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থতা জনিত কারণে মারা যাওয়ার পর ওই আন্দোলন শুরু হয়। পশ্চিমা সরকারগুলো এবং গণমাধ্যম সেসময় ইরানবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সুযোগ নিয়ে এই ঘটনাকে ব্যবহার করে। তারা প্রচার করতে থাকে- পুলিশি নির্যাতনে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে।
অথচ সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, একজন ইরানি নারী পুলিশ কর্মকর্তার সামনে কথোপকথনের সময় মাহশা আমিনি অনেকটা ভেঙে পড়েন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
ইরান সরকার বারবার এ বিষয়ের সত্য তথ্য দিয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরলেও একদল বিক্ষোভকারী পশ্চিমা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে ইরানের জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করতে থাকে এবং দেশে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করে। উপায়হীন হয়ে ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা ও মদদ দানকারীদেরকে আটক করে বিচারের আওতায় আনে।
আমির আবদুল্লাহিয়ান তার টুইটার বার্তায় এই কথাটি তুলে ধরে বলেছেন, সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে শুধু আটক করা হয়।
অবশ্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আটক ব্যক্তিদের একটি বড় অংশকে ক্ষমা করে মুক্তির নির্দেশ দেন।