অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের লাগাতার আগ্রাসন সত্ত্বেও তারা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি দেবে না। হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র হামাসের দাবি পূরণ করলেই ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে। হামাসের শর্তগুলোর মধ্যে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মুক্তি বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর বাইরে ইসরাইল কোনভাবেই তাদের বন্দীদের জীবিত অবস্থায় মুক্তির আশা করতে পারে না।
আবু উবাইদা বলেন, ইসরাইলের ফ্যাসিবাদী শত্রু এবং তার বলদর্পী নেতৃত্ব অথবা তাদের সমর্থকরা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর দাবি পূরণ করা ছাড়া বন্দীদের জীবিত ফেরত পাবে না।
হামাস মুখপাত্র আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া হামাসের সামনে কোনো বিকল্প নেই। গাজার প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি রাস্তা ও গলিতে হামাসকে লড়াই করতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস এবং ফিলিস্তিনের কয়েকটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান চালায়। এ সময় তারা অন্তত ২৪০ ব্যক্তিকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর ইসরাইলের লাগাতার বোমা হামলা এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামীদের প্রতিরোধ যুদ্ধের এক পর্যায়ে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং বন্দী বিনিময় চলে। এ সময় হামাস ৮০ জন বন্দীকে মুক্তি দেয় যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। হামাসের হাতে এখনো ১৩৭ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে যাদের বেশিরভাগই সেনা কর্মকর্তা ও সিপাহী।
এদিকে, গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদীদের লাগাতার হামলার ব্যাপারে গতকাল কাতার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, নতুন করে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যে আলোচনা চলছে, অব্যাহত হামলার কারণে তা অচল হয়ে যেতে পারে।
Leave a Reply