এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে তিনি গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বার বার হামলার শিকার হয়ে শৈলকুপা থানা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে বহুবার ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পৌরসভার কাউন্সিলর মুসা খাঁন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে ও তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে ঈর্ষান্বিত হয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী কারনে অকারনে তার পরিবারের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তবে প্রশাসনিক কিংবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার চেয়েও কোন সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন না বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়।
তিনি বলেন,তার নিলুফা প্রিক্যাডেট এবং নিলুফা প্রতিবন্ধী স্কুলসহ বসতবাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। গত ১০আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর এলাকার ফাজিলপুর গ্রামে এ হামলার এঘটনা ঘটে। হামলায় হাসি খাতুন,বৃষ্টি খাতুন,লাকি খাতুন ও পাভেলসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতরা শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। শৈলকুপা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পাঠান পাড়া গ্রামের মুসা খান, দাউদ উল হক খান,আরিফুল হক খান পলাশ,তুলসী খাতুন ও বিপ্লব হোসেনসহ ২০/২৫ জন এ হামলা চালায় বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। নিলুফা ইয়াসমিন জানান, এর আগে মুসা খান তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে,তার স্কুলের সাবেক প্রিন্সিপাল দাউদ আল হাফিজকেও মারধর করে আহত করে। তিনি এ বিষয়ে শৈলকুপা থানায় একাধিকবার অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বারবার হামলা করা হয় বলে দাবী করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এসব ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার দাবী করা হয়। সেই সাথে তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর,সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান সন্টুসহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply