অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকায় সফররত চার দেশের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার নিয়ে একটি পক্ষের চাহিদা আছে। তবে এটি সংবিধান অনুসারে সম্ভব নয়। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে ইসি।
রোববার (৩০ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সংসদ নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততই বিদেশিদের আনাগোনা বাড়ছে দেশের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অঙ্গনে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর পর এবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও আয়ারল্যান্ডের চারজন পর্যবেক্ষক।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে এক ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে দুই প্রার্থীর উপর হামলার বিষয়েও জানতে চান প্রতিনিধিরা।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম বলেছে, প্রচলিত আইনেই সংবিধান অনুসারে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।
পরে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব। জানান, যেকোনো দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে, তবে তার আগে অনুমতি নিতে হবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে বলেন, আপনাদের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে না। এটি করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যদি এটি ভালো আইডিয়া হয়ে থাকে, যদি তারা (ইসি) এটা করতেও চায়, তারা এটা করতে পারবে না। কারণ এটি করার কোনো আইনি কাঠামো নেই। এই মুহূর্তে এটা করা সম্ভব নয়।
টেরি এল ইসলে বলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো বক্তব্য নয়।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলে জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু ও চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply