অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক নারী ইউপি সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত পেয়ারা খাতুন উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামের হানিফ সরকারের কন্যা এবং হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমের দ্বিতীয় স্ত্রী।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য পেয়ারা খাতুন ১ বছর আগে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোন একসময় পেয়ারা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী আব্দুল আলীম ও তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে চলে যায়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে ঘটনা জানাজানির পর থেকেই হাজারো উৎসুক জনতা ভীর করেছে নিহতের বাড়িতে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নিহত পেয়ারা খাতুনের বাবা হানিফ সরকার, চাচা রইমউদ্দিন সরকার জানান, গত একবছর আগে আব্দুল আলীম প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ব্লাকমেইল করে পেয়ারা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর চাপ সৃষ্টি করে পেয়ারার কাছে থেকে ১৭ লাখ টাকা নেয়। এরপর থেকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছে। কিন্তু লোভী আব্দুল আলীম টাকা না পেয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল আলীম ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।