অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তাইওয়ানের চারপাশে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ার পর এবার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
গত সপ্তাহে তিনি এই আহ্বান জানান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। খবর এএফপির।
পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্সের একটি ব্রিগেড পরিদর্শনের সময় গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন। খবর চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সম্প্রচারকারী সিসিটিভির।
তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সেনাবাহিনীর বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ার কয়েকদিন পর জিনপিংয়ের এই আহ্বান সামনে এলো।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, সামরিক বাহিনীকে বিস্তৃতভাবে প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করা উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে, সেনাদের কঠিন যুদ্ধের সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাদের অবশ্যই তাদের কৌশলগত দক্ষতা এবং যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দাবি করে থাকে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বশাসিত এই দ্বীপের চারপাশে বেইজিং তার শক্তি প্রদর্শন ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবেন না।
উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, এটিকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।
১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
Leave a Reply