ইরান ও ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং ওমান গোলযোগপূর্ণ সিরিয়ার স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য দেশটিতে সব সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের জন্য ক্ষমতাসীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল (সোমবার) রাজধানী তেহরানে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ বদর আল-বুসাইদির সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান আব্বাস আরাকচি। এর আগে দুই শীর্ষ কূটনীতিক সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়েও কথা বলেন।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা, ঐক্য, সমস্ত জাতি গোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সিরিয়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার প্রশ্নে একমত হয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্য এবং সিরিয়ার স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতার ব্যাপারে ওমান-সহ এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের সাথে ইরানের অবস্থান অভিন্ন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস আরাকচি বলেন, আঞ্চলিক ঘটনাবলী নিয়ে ইরান এবং ওমানের মধ্যে শলাপরামর্শ অব্যাহত রয়েছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন।
ইয়েমেনের ওপর মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী এবং সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল যেসব হামলা চালিয়েছে তার কঠোর নিন্দা করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি ইরান এবং ওমানের মধ্যে বেড়ে চলা সম্পর্কের প্রশংসা করেন আব্বাস আরাকচি।
সংবাদ সম্মেলনে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার চমৎকার আলোচনা হয়েছে যা দ্বিপক্ষীয় গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থের জন্য এই সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরো জোরদার করতে প্রস্তুত মাস্কাট।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পরিবহন সুবিধা বাড়ানোর বিষয়েও দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন বলে জানান তিনি। ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের মতো ওমানও কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখার জন্য সিরিয়ার স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করা অপরিহার্য।
সোমবার রাতে ইহুদিবাদী বাহিনী দাবি করেছে যে, ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে তারা। এ সময় পুরো অধিকৃত ভূখণ্ডজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়। ইসরাইল আরো দাবি করেছে, ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষে কোন হতাহতের ঘটনা কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
গত বছরের ৭ আগস্ট ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ফিলিস্তিনি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে এবং এ পর্যন্ত তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর বহু হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইয়েমেনের সেনারা লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরাইল অভিমুখী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এজন্য ব্রিটেন এবং আমেরিকা ইয়েমেনের ওপর কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে।
Leave a Reply