অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফাঁসি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী যে ভাষণ দিয়েছেন তা সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ইমাম খামেনেয়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের হাজার হাজার সদস্যের সমাবেশে দেয়া ভাষণে বলেন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তার পাশাপাশি ইসরাইলের অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধেও মৃত্যুদণ্ড জারি করতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ওই ভাষণের পর সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন। পার্সটুডের এই রিপোর্টে এরকম কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারীর মন্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে:
নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী : ইরানি এক্স ব্যবহারকারী সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ হোসেইনি লিখেছেন: ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁসি দেয়া হলে তা হবে তার জন্য ন্যুনতম শাস্তি।
হোসেইনি লিখেছেন: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী যার ন্যুনতম শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পরকালে তার জন্য জাহান্নাম অপেক্ষা করছে; তাকে থামানোর একমাত্র উপায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।
বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষগুলোর উচিত নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সাহায্য করা : তাহা সারাবান নামক আরেক এক্স ব্যবহারকারী নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন: বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের উচিত অবিলম্বে ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করা এবং নেতানিয়াহুসহ সকল ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা। আমি শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের সমর্থক পশ্চিমা নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, তারা যেন স্বাধীনচেতা জাতিগুলোর হাতে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার আগেই এই যুদ্ধাপরাধীর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।
নেতানিয়াহুকে খতম করার নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে : ‘মিস্টার বিশ্লেষক’ ছদ্মনামের একজন এক্স ইউজার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি করা মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি লিখেছেন: একদিন নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল। আজ আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, সে একটা উন্মাদ এবং তাকে গ্রেফতার করতে হবে। নিশ্চিতভাবে তাকে খতম করার নির্দেশও বাস্তবায়িত হবে। আজকের দিনটি মনে রাখুন।
নেতানিয়াহুকে হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দিলেও যথেষ্ট নয় : ইরানি এক্স ইউজার সামাদ খালেদিও ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রীর ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতি ইঙ্গিত করে এই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন: নেতানিয়াহুকে হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দিলেও তা কম হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আদালত বা আইসিসির পক্ষ থেকে অবিলম্বে নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধাপরাধীদের গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা উচিত।
নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ : অপর ইরানি এক্স ইউজার মাহসা আলাভি নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ডকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি লিখেছেন: নেতানিয়াহু শুধু ফিলিস্তিন নয় সেইসঙ্গে গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে যুদ্ধ ও রক্তপাত চাপিয়ে দিতে চায়; তার নির্দেশে যে অপরাধযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তার অবশ্যই জবাব দেয়া উচিত। নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ।
সকল অপরাধযজ্ঞের পেছনে রয়েছে নেতানিয়াহু : ইরাকের আরেক এক্স ব্যবহারকারী ফাতেমা সাদাত গাদিরি মনে করেন, সমসাময়িক ইতিহাসে নেতানিয়াহুর মতো অপরাধী খুব কম পাওয়া যাবে যে কিনা এত ভয়াব ও নির্দয়ভাবে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি লিখেছেন: গাজার ওপর ভয়াবহ বোমাবর্ষণ ও এই উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সেখানকার মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার নির্দেশ নেতানিয়াহুই জারি করেছে।
Leave a Reply