অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগে তিন ইউনিয়ন বিএনপির নেতার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ছামছুল হাসান ছামছুল ও সদস্য সচিব মো. আব্দুস সালাম মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলীয় পদ স্থগিত প্রাপ্তরা হলেন- কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আব্দুস সালাম মিয়া জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের রিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ আর এম মাহফুজার রহমান জানান, ওই সময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক মিয়ার স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন তার জন্মনিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুল কাদের মিয়া ও হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর বেলাল হোসেন তাকে দুপুরের পর আসতে বলেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ পর ওই নারী কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনাসহ ২০-২৫ জনকে সাথে করে নিয়ে ফিরে আসেন। একপর্যায়ে তারা তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত গ্রামপুলিশরা বাঁধা দিলে তারা আব্দুল গণি আকন্দ নামে এক গ্রামপুলিশকে মারধর করে।
Leave a Reply