অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৬তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে লাখো-কোটি মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে হাতে ইরানের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিন এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর পতাকা রয়েছে। এছাড়া মিছিলকারীদের হাতে বিপ্লবের শ্লোগান লেখা নানা প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে। তেহরানে দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতীকী বিচার করা হয় এবং তার কুশপুত্তলিকাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। একই সঙ্গে নেতানিয়াহু, জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতীকী কফিন বহন করেছে ইরানের বিক্ষোভকারীরা।
ইরানি জনগণ যে ইসলামী বিপ্লবকে আগের মতোই ভালোবাসে বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল থেকে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বিপ্লবের শোভাযাত্রায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে প্রতিবারই হতাশ হয়ে পড়ে শত্রুরা।
১৯৭৯ সালের এই দিনে ইমাম খোমেনী (রহ.)’র নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লব চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে এবং এর মাধ্যমে দেশটি থেকে কয়েক হাজার বছরের রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা উৎখাত হয়ে যায়।
আজ (সোমবার) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের এক হাজার চারশ’রও বেশি শহর এবং ৩৫ হাজার গ্রামের মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পতাকা হাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ ‘ইসরাইল নিপাত যাক’ ধ্বনিতে স্লোগান দেন।
প্রতি বছর বিপ্লব দিবসের এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে ইরানি জনগণ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর প্রতি আনুগত্যের শপথ পুনর্ব্যক্ত করেন।
চলতি বছরের বিপ্লব বার্ষিকীর অনুষ্ঠান প্রচারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন দেশি-বিদেশি হাজার হাজার সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক ও প্রামাণ্য চিত্র নির্মাতা। তারা ঠান্ডার মধ্যে এমন শোভাযাত্রা ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাজধানী তেহরানে বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রাগুলো ঐতিহাসকি আজাদি স্কয়ারে এসে শেষ হয়। এখানে সমবেত জনসমুদ্রের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ড. মাসুদ পেজেশকিয়ান।
আজকের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের কর্মসূচি শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামি বিপ্লবের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছে, ইসলামি বিপ্লব মুসলিম উন্মাহর দেহে নতুন করে প্রাণ সঞ্চারিত করেছে এবং জুলুম বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের শিক্ষাকে উজ্জীবিত করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply