অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজা উপত্যকার কুখ্যাত নেতজারিম করিডোর থেকে নিজের সেনা সম্পূর্ণ সরিয়ে নিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এ ঘটনাকে ‘বিজয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে হামাস বলেছে, এতে আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে দখলদার ইসরাইল ১৫-মাসব্যাপী গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিজের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা যুদ্ধের শুরুর দিকে ইহুদিবাদী সেনারা গাজা দখল করে নেয়ার পর নেতজারিম করিডোর তৈরি করেছিল। তারা উত্তর গাজার অধিবাসীদের দক্ষিণ দিকে বিতাড়িত করার পর পূর্ব-পশ্চিম বরাবর একটি মহাসড়ক নির্মাণ করে সেই সড়কের ওপর শত শত সেনাকে পাহাড়ায় বসিয়েছিল যাতে দক্ষিণে বিতাড়িত হওয়া গাজাবাসী উত্তর দিকে যেতে না পারে। এই মহাসড়কের নাম দেয়া হয়েছিল নেতজারিম করিডোর। এখানে গত ১৫ মাসে বহু নিরীহ বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে তারা হত্যা করেছে। কিন্তু গত মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে শনিবার তিন ইহুদিবাদী পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর নেতজারিম থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে তেল আবিব।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় যে দখলদার বাহিনী ধারাবাহিকভাবে পরাজিত হচ্ছে তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। এর মাধ্যমে ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী গাজায় বিজয়ী হওয়ার যে মিথ্যা দাবি করেছিলেন তার স্বরূপও উন্মোচিত হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকা, এটির অধিবাসী ও যোদ্ধাদের হাতে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভূখণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে এবং যেকোনো বহিঃশক্তির জন্য এই ভূখণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।
এদিকে নেতজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করার ঘটনাকে ফিলিস্তিনের পপ্যুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটি বা পিআরসি ‘আমেরিকান-ইহুদিবাদী’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয় বলে অভিহিত করেছে।
Leave a Reply