অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শান্তি পরিকল্পনায় হামাসের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই গাজায় অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি সব ইসরায়েলিকে মুক্তি দিতে রাজি হওয়ার পর ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
শুক্রবার নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জিম্মিদের নিরাপদে এবং দ্রুত মুক্ত করতে পারি।
তিনি বলেন, “চলমান সংঘাতের মধ্যে এখনই জিম্মিদের মুক্ত করা খুব বিপজ্জনক। আমরা ইতোমধ্যে বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। এটি শুধু গাজা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘকাল ধরে প্রত্যাশিত শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।”
বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “হামাসের সর্বশেষ বিবৃতি দেখার পর আমার মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মেছে যে তারা দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য প্রস্তুত।”
এদিকে, ট্রাম্পের বিবৃতির পর দুই লাইনের একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। জানিয়েছে, ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি তারাও।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনায় রাজি হতে হামাসকে রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। এমনকি প্রস্তাব মেনে না নিলে কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছিলেন।
গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধের অবসানে ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন যে পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেছেন ট্রাম্প, গতকাল শুক্রবার তা সমর্থন করে নিজেদের হাতে থাকা জীবিত ও মৃত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। সেই সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা শুরুর ব্যাপারেও আগ্রহ জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
তবে কয়েকটি শর্ত নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করতে চায় হামাস। জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মতি প্রদানের পাশাপাশি হামাস বলেছে, চুক্তির অন্যান্য শর্তগুলোর ব্যাপারে ‘একীভূত ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামো’-এর আলোকে আলোচনা করতে চায় তারা।
‘একীভূত ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামো’ বলতে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি গোষ্ঠীটির।