অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার ৪৩ দিনের দীর্ঘ শাটডাউন শেষ হলেও দেশ এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। সরকারি দপ্তরগুলো খোলার পরও কাজ হচ্ছে খুব ধীরে। ট্যাক্স, ভিসা, পাসপোর্টসহ সাধারণ সেবাগুলোতে মানুষের ভোগান্তি কমেনি বরং বাড়ছে। শাটডাউনের সময় অনেক সরকারি কর্মী বেতন না পেয়ে আর্থিক চাপে পড়েছিলেন কেউ কেউ আবার চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় এখন দপ্তরগুলোতে কর্মী-সংকট আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
মুলত যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে শাটডাউন শুরু হয়, এর পেছনে কারণ ছিল কংগ্রেস সময়মতো বাজেট অনুমোদন করতে পারেনি। প্রায় ৪৩ দিন পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফান্ডিং বিল স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে সরকারি কাজ পুনরায় চালু হয়েছে।
যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বিমান চলাচলে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মী কম থাকায় ফ্লাইট দেরি, বাতিল এবং চেক-ইন লাইনে ভিড় বাড়ছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। অর্থনীতিতেও চাপ পড়ছে—মুদ্রাস্ফীতি, বাণিজ্য ও চাকরিসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সময়মতো প্রকাশ না হওয়ায় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারি প্রকল্প, গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতের কাজও ধীর হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এই পরিস্থিতি কেবল সময়িক ভাবে থেমে আছে। কারণ, কংগ্রেস এখন যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে তা অস্থায়ী। কয়েক মাস পরই আবার বাজেট অনুমোদন নিয়ে তীব্র সংকট তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ শাটডাউনের দুঃস্বপ্ন যে আবার ফিরে আসবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অনিশ্চয়তার ছায়া এখন পুরো দেশে। সরকারি কার্যক্রম থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভিসা-ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া, এমনকি জাতীয় নিরাপত্তা পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে, আর সামনে কী অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে পুরো দেশজুড়ে রয়েছে এখনো অনিশ্চয়তা।