অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এই প্রচণ্ড শীতের মৌসুমে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ঘর গরম করতে না পারা মানুষের জীবনের অন্যতম সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে; সে কারণে জার্মানি ও ফ্রান্সের মানুষসহ লক্ষ লক্ষ ইউরোপীয় ঠান্ডা ঘরে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
ইউরোপে জ্বালানি সংকট এই মহাদেশটির সবচেয়ে পুরনো সমস্যাগুলির মধ্যে একটি, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তীব্রতর হয়েছে। বহু সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম শীত ঋতুতে ইউরোপীয়দের ঘর গরম করতে না পারা এমন একটি সংকট যা তাদেরকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ইউরোনিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে এমন লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে যারা তাদের ঘর যথেষ্ট গরম রাখতে পারে না এবং লাখ লাখ ইউরোপীয় ঠান্ডা ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
ইউরোনিউজ এই সংকটের বিশদ বিবরণ দিয়ে লিখেছে: “ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের ঘর পর্যাপ্ত গরম রাখার সামর্থ্য রাখে না। যে তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ জ্বালানি সংকটে ভুগছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে বাস করে। ঠান্ডা ঘরে বসবাস মানসিক চাপ বাড়া ছাড়াও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ঠান্ডা পরিবেশ স্ট্রোক এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।”
পরিসংখ্যানের মধ্যে, তুরস্ককে একটি ইউরোপীয় দেশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয় এবং ৩৬টি দেশের মধ্যে, তুরস্কে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ জ্বালানি স্বল্পতায় ভুগছেন। ফ্রান্সে ৮০ লাখ এবং জার্মানিতে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ জ্বালানি সংকটে ভুগছেন এবং ঠান্ডা ঘরে বাস করেন।
ইউরোপীয় কমিশন জ্বালানি স্বল্পতার ৩টি প্রধান কারণ তালিকাভুক্ত করেছে। (ক) উচ্চ জ্বালানি খরচ (খ) নিম্ন আয় এবং (গ) দুর্বল গরম করার ব্যবস্থা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে জ্বালানির দাম বেড়েছে।