অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়ার মাধ্যমে সেচ পেয়ে ফসল উৎপাদন করছেন নীফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী এলাকার কৃষক। পাশাপাশি ওই এলাকার পরিবারগুলোর বিশুদ্ধ খাবার পানির চাহিদা মিটছে। সূত্র জানায়, পাতকুয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল চাষে বিনামূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা। পর্যায়ক্রমে অন্য ইউনিয়নের কৃষকরাও এ সেচ সুবিধা পাবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি বিপ্লবের প্রকল্পে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রান্তিক কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য ২০১৮ সালে পাতকুয়া প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন (বিএমডিএ) কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির আওতায় ওই বছরই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয় সৌরবিদ্যুৎচালিত চারটি পাতকুয়া (ডাগওয়েল)। প্রতিটি কুয়ার জন্য খরচ হয়েছে ১৩ লাখ টাকা।
সে হিসেবে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই চারটি কুয়ার মাধ্যমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর বিনাখরচে সেচের সুবিধা পেয়ে আসছে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ২ হাজারের বেশি চাষি, যা তাদের আশার আলো দেখিয়েছে। এতে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র থেকে রেহাই পেয়েছে এই কৃষকরা।
প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকরা জানান, পাতকুয়ার ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনমান পাল্টে গেছে। বড়দহ গ্রামের উপকারভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সেচের অভাবে আমার প্রায় পাঁচ বিঘা জমি পতিত থাকত। সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়ার মাধ্যমে ফসলে সেচ দেওয়ায় সেই সব জমির পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে।
এখন জমিতে শীতকালীন বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ, মরিচ, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, আলু চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি। স¤পূর্ণ বিনাখরচে এই সেচ সুবিধা পাওয়ায় আমার মতো অনেক চাষি খুশি। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীনা বেগম বলেন, একসময় কৃষি ও সুপেয় পানির নির্ভরযোগ্য আধার ছিল পাতকুয়া। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অগভীর ও গভীর নলকূপসহ নানা প্রযুক্তির কাছে হারিয়ে যায় পাতকুয়া। দীর্ঘদিন পর আবারও কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজন অনুভব করায় সেচসহ বহুমুখী কাজে পাতকুয়ার ব্যবহার শুরু হয়েছে।
Leave a Reply