November 16, 2025, 9:06 am
শিরোনামঃ
ধানের শীর্ষে ভোট দিন ; আমি আপনাদের খাদেম হয়ে থাকবো : মেহেদী হাসান রনি ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় দালালসহ ৭ নারী-পুরুষ আটক ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুলিশ বক্সের সামনের রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে থাকবে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে জামায়াতের ভোট মাত্র ৫-৬ শতাংশ : বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী সোমবার জামায়াতসহ ১২ দলের সঙ্গে ইসি’র সংলাপ দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে প্রমোদতরী হিসেবে চালু হলো শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ গণভোটের ৪ প্রশ্নের একটিতে দ্বিমত থাকলে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায় : বিএনপি নেতা রিজভী দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রাজধানীতে ড্রাম থেকে ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনার মূলহোতা জরেজ মিয়া গ্রেপ্তার
এইমাত্রপাওয়াঃ

ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখলে চোর তো আসবেই : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘ব্যাংকে টাকা নাই’- এমন গুজবে কান দিয়ে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখছেন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, এতে তো চোর সুযোগ পাবে। চোর ওই ঘরে যাবে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রিজার্ভ নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে শুনলাম আমাদের দেশের সবাই রিজার্ভ নিয়ে পারদর্শী হয়ে গেছেন। গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায়ও এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিন মেয়াদে আমরা ক্ষমতায় অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ কোনো দিন ঋণখেলাপি হয়নি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সরকার রিজার্ভ যেখানে রেখে গেছে, তার চেয়ে বাড়িয়েছি। কিন্তু করোনায় পানির মতো টাকা খরচ করেছি, সেটা নানা কাজে খরচ করেছি, মানুষের প্রয়োজনে। এখন খাদ্য কিনতে হচ্ছে। মানুষের যেগুলো ভোগ্যপণ্য, সেগুলো নিয়ে যাতে সমস্যা পড়তে না হয়। যার জন্য রিজার্ভ কমেছে। শুধু আমাদের নয় অনেক দেশের রিজার্ভও কমেছে।
জনগণের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ কেন রাখা হয়? দুর্যোগ দুর্বিপাকে যেন খাদ্য কেনা যায়। আমাদের এখন যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে তিন মাস নয়, পাঁচ মাস আমদানি করা যাবে, খাদ্য কেনা যাবে। তবে আমি বলবো, খাদ্যপণ্য যাতে আমদানি করতে না হয়, সেজন্য সবাইকে উৎপাদনমুখী হতে। চিকিৎসকদেরও আহ্বান জানাই- জমিজমা তো কিছু আছে। চাষ করেন। কিছু উৎপাদন করেন। যাতে আমরা নিজেদেরে চাহিদা মিটিয়ে অন্যদেরও দিতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সারাবিশ্বকে অর্থনৈতিক মন্দায় ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশে আমরা আমাদের অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে পেরেছি। ২০০৮ সালে বলেছিলাম রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করবো। এরইমধ্যে সেটা বাস্তাবায়ন করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের উন্নয়নের গতি-প্রবৃদ্ধি আমরা ৮ শতাংশে উন্নীত করেছি। করোনা এসে সেটাকে বাধাগ্রস্ত করে দেয়।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিভিন্ন পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। যার কারণে অতিরিক্ত বা অসহনীয় পর্যায়ে দাম উঠে গেছে। এজন্য আমি কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য অনুরোধ করেছি। সবাইকেই সাশ্রয়ী হওয়া একান্ত দরকার।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে ‘অনেকের চক্ষু চড়কগাছ’
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের যারা একটু অর্থশালী, হাঁচি-কাশি দিলেই দৌড়ায় বিদেশে। করোনায় তো যেতে পারে নাই। তখন বাধ্য হয়েছে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে। সব চেয়ে বড় কথা ভ্যাকসিন। পৃথিবীর অনেক উন্নত ও ধনী দেশ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেয়নি। আমরা দিয়েছি। করোনায় হাসপাতালে গিয়ে আমাদের বড়লোক রোগী, যারা বাধ্য হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে গেছেন, যাবার পরে অনেকের চক্ষু চড়কগাছ। তারা বলছেন, আমাদের দেশের এত সুন্দর হাসপাতাল আছে! এত ভালো সেবা দেয়? এজন্য আমাদের ডাক্তার-নার্সদের ধন্যবাদ জানাই। তারা করোনায় নিরলস সেবা দিয়েছেন। তারপরও যাদের টাকা আছে তারা তো বিদেশ যাবেই।
এসময় করোনার টিকা সবাইকে নিতে ফের উদ্বুদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজসহ (করোনা টিকা) সবাই নিয়ে নেবেন। কারা কারা নিয়েছেন হাত তোলেন। যারা নেননি, নিয়ে নেবেন। নেবেন না কেন, বিনামূল্যেই তো দিচ্ছি। যারা না নেবেন, তাদের ফাইন করবো।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সাফল্য ও উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শুনতে পাই আমরা নাকি কিছুই করি নাই। মানুষও সব ভুলে যায়। এজন্য যখন যে সেক্টরে যাই, সে সেক্টরে যা করেছি মানুষের কাছে তুলে ধরি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন, চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চেয়েছেন, আমরা সেভাবে সব ব্যবস্থা নিয়েছি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি যেভাবে অত্যাচার করেছে, সেটা ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর অত্যাচারকেও হার মানায়। এখনও অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হন। সেসব নারীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমরা সুব্যবস্থা করেছি। আইনি সহায়তারও ব্যবস্থা নিয়েছি।
খুনিদের লালন-পালন করে যুক্তরাষ্ট্র
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কখনো কোনো হত্যাকাণ্ড হলে আমার কাছে যখন বিচারের দাবি করে, তখন আমার মনে হয়- আমার বাবা-মা-ভাইদের হত্যার বিচার পেতে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবুও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা ভোট দিয়েছেন বলেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এখনও কিছু খুনির শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। একজন খুনি আমেরিকায়, আরেকজন কানডায়, দুইজন পাকিস্তানে। আরকেজনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আমেরিকা একজন খুনিকে লালন-পালন করছে। অবশ্য আমেরিকার আচরণই এরকম। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে, তাদের ধরে এনে যেভাবেই হোক শাস্তি নিশ্চিত করবো। এটাই আমি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ডের পরই ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অবৈধভাবে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা হয়। জাতির পিতার করে দেওয়া সংবিধানও ক্ষত-বিক্ষত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের ভোটের অধিকার ছিল না। জিয়াউর রহমান তাদের ভোটের অধিকার ও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদেরও বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page