অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ডিআইটিএফ’ রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি উৎপাদক, ক্রেতা-বিক্রেতা, রপ্তানিকারক-আমদানিকারক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৩ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র যৌথ আয়োজনে আগামীকাল রোববার (১জানুয়ারি-২০২৩) থেকে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) শুরু হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,‘মেলায় অংশগ্রহণকারি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান, ক্রেতাসাধারণসহ আয়োজক কর্তৃপক্ষকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই’।
তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত উদার বাণিজ্য নীতিসহ নানাবিধ সহায়তা প্রদানের ফলে দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা খাতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আবদুল হামিদ বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে সফলভাবে উত্তরণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও আমদানিকারকদের নিকট আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি জানান, পদ্মাসেতুসহ অবকাঠামো খাতে বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হয়েছে, যা বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও বৈচিত্র্যময় পণ্য সম্ভারের কারণে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা একটি জনপ্রিয় বার্ষিক আয়োজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমি আশা করি, ডিআইটিএফ-২০২৩ রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এবং দেশি-বিদেশি উৎপাদক, ক্রেতা-বিক্রেতা, রপ্তানিকারক-আমদানিকারক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরিতে গুরৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩’র সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
Leave a Reply