অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের বিজয় মেলা শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৬ নেতা। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এসময়ে ভাঙচুর করা হয়েছে ৬টি মোটরসাইকেল।
মেলা শেষে শনিবার শেষ রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের উপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমানসহ আরও ২ দুই যুবলীগ কর্মী।
তাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাংকাজনক।
এরপর পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেওয়া হয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিকের। তাকে আশঙ্কাজনিত অবস্থায় চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিজয় মেলা শুরু হয়। ৩১ ডিসেম্বর ছিল মেলার শেষ দিন।
এই বিষয়ে স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাষ্টার বলেন, বিজয় মেলায় আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরণের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন বলেন, শনিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় এখনেও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply